চোখের সৌন্দর্যে টুকিটাকি, চোখের পাপড়ি সুন্দর করার সহজ উপায়



মানুষ সুন্দরের পূজারী। নিজেকে সবার মধ্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার ইচ্ছা থেকেই মানুষ সৌন্দর্য চর্চা করে। প্রসাধনী দেহের বাইরের পরিচর্যা। সৌন্দর্যের মূল উৎস দেহের ভেতর। তাই বাইরের পরিচর্যার সঙ্গে দেহের ভেতরের পরিচর্যাও প্রয়োজন।

কিছু অভ্যাস বা সতর্কতাই আমাদের দেবে সুস্থ, সুন্দর ও আকর্ষণীয় চেহারা। তাই ত্বকের সাথে সাথে চোখের যত্নের এমন কিছু সতর্কতা জানাছেন স্কয়ার হাসপাতালের গাইন অ্যান্ড অবস বিভাগের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ফারহানা মোবিন।

চোখ: প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে চোখ খোলা রেখে স্বাভাবিক পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অখ্যাত কোম্পানির আইশ্যাডো, মাশকারা বা কাজল ব্যবহার করবেন না। সবুজ গাছপালার দিকে বেশি তাকান। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমান। সবুজ শাকসবজি, ছোট মাছ চোখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে। তাই এসব খাবার বেশি করে খাবেন।

যারা চোখের পরিশ্রম বেশি করেন, তারা প্রতিদিন অন্তত টানা ৩০ মিনিট চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকুন। এতে চোখ ও ভ্রুর নিচের মাংসপেশিগুলোর বিশ্রাম হবে। ফলে চোখের পাপড়ি, চোখের নিচের অংশ ও ভ্রুর চারপাশের মাংপেশি দীর্ঘ বয়স পর্যন্ত টানটান থাকবে, সংকুচিত হবে না।

ভ্রু: ভ্রু গজানো দেহের হরমোনের ওপর নির্ভর করে। কারও দ্রুত, কারও দেরিতে ভ্রু গজায়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ভ্রু প্লাক করুন। নিয়মিত ভ্রু তুললে ভ্রুর মাংসপেশি বয়ঃপ্রপ্তিতে চোখের ওপর ঝুলে পড়বে।

চোখের নিচের ত্বক: পেপটিক আলসার ও অম্লের রোগীদের চোখের নিচে কালো হয়ে যায়। মোটা ও ভারী কাঁচসমৃদ্ধ চশমাতে চোখের নিচের ত্বক বসে যায়। তাই পেপটিক আলসার ও অম্লের রোগীরা চিকিৎসকের সাহায্য নিন। মোটা কাচের চশমা পরিহার করুন।

দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত রাত জাগা, কড়া লিকারের চা বা কফি, মাদকদ্রব্য, তামাক, বিড়ি, সিগারেটের জন্য চোখের নিচের ত্বক কালো হয়ে যায়। তাই এ অভ্যাসগুলো পরিহার করুন। হঠাৎ অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ডায়রিয়ার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে চোখের নিচে। তাই ধীরে ধীরে খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন। ডায়রিয়া হলে খাওয়ার স্যালাইনসহ অন্যান্য তরল খাবার প্রচুর পরিমাণে খাবেন

Comments