তুলসী পাতা বা গাছ বাঙালীদের নিকট খুবই পরিচিত একটি ভেষজ বা ওষধি গাছ। তুলসী পাতা পুজোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তুলসি পাতার উপকারিতা বা গুণাগুণ রয়েছে অনেক। তুলসি পাতার চা আপনাকে বহু অসুখ বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে সংক্রামক বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। জেনে নিন তুলসি পাতার গুনাগুন।
* তুলসিপাতা প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যকৃতের জারণ বিকিরণ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে তুলসিপাতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
* তুলসিপাতায় থাকা বিভিন্ন যৌগ প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
* তুলসিপাতায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে এবং কোন কোলেস্টেরল নেই।
* তুলসিপাতায় থাকা ভিটামিন এ সুস্থ দৃষ্টির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
জ্বরঃ
তুলসীপাতা সবথেকে বেশি যে অসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে তা হল জ্বর। চায়ে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই পাণীয় যদি পান করেন, তবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপনার পরিবারের কারুর জ্বর হলে তাকে তুলসীপাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠান্ডা চা পান করালে জ্বর সেরে যাবে দ্রুত।
গলার ব্যাথাঃ
সামান্য গরম জলে তুলসীপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে, সেই জল দিয়ে গার্গল করলে বা জল পান করলে আপনার গলার ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে।
সর্দি ও কাশিঃ
সর্দি-কাসি প্রায় প্রত্যেকটি মরসুমের খুব সাধারণ একটি অসুখ যা সবাইকে সমস্যা দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে গেলে তুলসীপাতা ৫ মিনিট চিবিয়ে রসটি গিলে নিন। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে সহজেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
ত্বকের সমস্যাঃ
মাঝে মধ্যেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা আপনাকে জর্জরিত করে তোলে। ত্বকে বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন ধ্রনের সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসীপাতার পেস্ট লাগান। তুলসীপাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি কমে যায়।
* ত্বকে ব্রণের সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসিপাতা। এছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি ও র্যাশ হলে তুলসিপাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে সমস্যাগুলি কমে যায়।
* সপ্তাহে দুই দিন আমলকির রসের সঙ্গে তুলসিপাতার রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি দূর হবে। একই সঙ্গে চুল পড়া বন্ধ হবে।
* প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি তুলসিপাতা চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
কিডনির সমস্যাঃ
তুলসীপাতা আপনার কিডনীর বেশ কিছু রোগের সমাধান করে দিতে পারে। তুলসীপাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, কিডনীতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যদি কিডনীতে স্টোন জমে যায় তবে তুলসীপাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
Comments
Post a Comment