বয়স বেড়েই চলছে? সাথে চেহারায় বয়সের ছাপ? তাহলে তো চিন্তার বিষয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকের নানাবিধ সমস্যাতেও জেরবার হই আমরা। বলিরেখা, কুঁচকানো চামড়া, বয়সজনিত দাগ-ছোপ চেহারার লালিত্যকে নষ্ট করে দেয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় বাজারচলতি ক্রিম বা চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করেই থাকেন আপনি। তবে এ সব ছাড়াও কতগুলো ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝে সামান্য কিছুটা সময় ব্যয় করলেই আপনি পেতে পারেন জেল্লাদার টানটান ত্বক। বলিরেখা, কুঁচকে যেতে বসা চামড়ার উপর যা দেবে যত্নের পরশ। বয়সের ছাপ সরিয়ে আপনার ত্বকও বলে উঠবে ‘বয়স একটা সংখ্যা মাত্র’!
খেয়াল রাখবেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ম্যাসেজ করার সঠিক নিয়ম আমরা জানি না বলেই চামড়া অকালে ঝুলে যায়। ত্বকের কুঞ্চিত ভাব ও ঝুলে পড়া রুখতে যেকোনো ক্রিম ম্যাসেজ করুন মুখের নীচের অংশ থেকে উপরের অংশ বরাবর। করুন। এভাবে চামড়া ঝুলে পরার ভয় থাকবে না।
টকদই ত্বকের জন্য খুব উপকারী। পুরু করে টকদই লাগিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের তেলা ভাব বজায় থাকে। শুধু তা-ই নয়, টক দইয়ের প্রভাবে ত্বকের মৃত কোষ ঝরে গিয়ে তা হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে কিছুটা মধু মেশান। মধুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার সঙ্গে আলাদা একটা গ্লো দেয়। সাথে অলিভ অয়েলের ট্যান রোধক ক্ষমতা ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।
মুখের ত্বকে মেসতা বা পুরনো ছোপ পরেছে? রাতে এক কাপ মেথি গুঁড়ো করুন। এবার সেটা পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এই পানি ও মেথির মিশ্রণ মুখে মেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের বলিরেখা ও ভাঁজকে টানটান করতে এই মিশ্রণ খুবই কার্যকর।
গোলাপ জল, মধু এবং গ্লিসারিন এই তিনটি উপাদান ত্বকের গ্লো বাড়াতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে এক চামচ গোলাপ জল, এক চা চামচ মধু ও কিছুটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রত্যেক দিন ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখের নীচ থেকে উপরের দিক বরাবর মাসাজ করুন।
Comments
Post a Comment